রাঙামাটিতে ৪০ পূজামণ্ডপে দূর্গোৎসব
এবার রাঙামাটি শহরসহ জেলার মোট ৪০ পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে প্রস্তুতি এখন শেষ।
ভক্তকুলের বিশ্বাস মতে, সোমবার মহালয়ায় দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গার মর্ত্যে আগমন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবী অর্চনার ডামাডোল। ভক্তরা জানান, এবার মর্ত্যে দেবী দূর্গার আগমন হয়েছে ঘোড়ায় এবং যাবেন দোলায় চড়ে।
রাঙামাটি পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া তথ্য মতে, এবার পূজা উপলক্ষে শহরসহ জেলায় ৪০ পূজামণ্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিটি মণ্ডপে বিস্তারিত কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। সার্বজনীন উৎসবের অংশে ১৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
এরপর ২০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ২১ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, কুমারী ও সন্ধিপূজা, ২২ অক্টোবর একই দিন মহানবমী ও মহাদশমী পালিত হলেও প্রতিমা নিরঞ্জন হবে ২৩ অক্টোবর। ওইদিন বিজয়া শোভাযাত্রা ও কাপ্তাই লেকে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সার্বজনীন কর্মসূচির অংশে শেষ হবে বর্ণিল শারদীয় দূর্গোৎসব।
এদিকে শহরসহ জেলার প্রতিটি মণ্ডপে পূজা শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া দূর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সাড়ম্বরপূর্ণভাবে আয়োজন করতে প্রত্যেক পূজামণ্ডপে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অমর কুমার দে জাগো নিউজকে জানান, শহরসহ রাঙামাটি জেলার প্রতিটি মণ্ডপে পূজার আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে। মণ্ডপগুলো সাজানো হচ্ছে নিজস্ব ঢং ও রঙে। প্রতিমা নির্মাণ শেষ। এখন কারিগররা ব্যস্ত প্রতিমার প্রাণ দিতে। এছাড়া সাজসজ্জাকরণ, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল নির্মাণ চলছে। আমরা সব মণ্ডপে শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এবার রাঙামাটি সদরে ১৪, কাপ্তাইয়ে ৭, রাজস্থলীতে ৩, কাউখালীতে ৪, নানিয়ারচরে ২, জুরাছড়িতে ১, বিলাইছড়িতে ১, বাঘাইছড়িতে ৪, লংগদুতে ২ এবং বরকলে ২টি মণ্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এমজেড/আরআইপি