ধুনটে চোর সন্দেহে শিশু নির্যাতন মামলার চার্জশিট


প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চোর সন্দেহে শিশু শিক্ষার্থী রাব্বিকে নির্যাতন মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগ পত্র) দাখিল করেছেন পুলিশ। রোববার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধুনট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বগুড়া আদালতে এই চাজর্শিট দাখিল করেন।

মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, ধুনট উপজেলার মানিকপোটল গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে খলিলুর রহমান (৬০), সেকেন্দার আলীর ছেলে বেলাল সরকার (৫০) ও আব্দুল হামিদ সরকারের ছেলে শামীম সরকার ওরফে মিনার (৩০)।

এছাড়া এজাহারভুক্ত আসামি ধুনট উপজেলার মানিকপোটল গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে আল আমিন (২২), ও শাহজাহান আলীর ছেলে মিজানুর রহমানকে (২৫) এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ধুনট উপজেলার মানিকপোটল গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (৮) মরিচতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে মানিকপোটল গ্রামের কোরবান আলীর (জনশুন্য) বাড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল রাব্বি। এসময় কোরবান আলীর প্রতিবেশি মিষ্টি ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান রাব্বিকে চোর সন্দেহ করেন। রাব্বি কোরবান আলীর বাড়ির ভেতর চুরির উদ্দ্যেশে ঢুকেছিল। এমন অভিযোগ এনে রাব্বিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে তিন ব্যক্তি।

পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সংবাদের ভিত্তিতে ৫ ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাব্বিকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রাব্বির বাবা মানিকপোটল গ্রামের লাল মিয়া বাদী হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ধুনট থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, মামলা তদন্তকালে সাক্ষ্য-প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিন আসামির বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

এদিকে তদন্তকালে দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলা থেকে দুই আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা বগুড়া আদালত থেকে জামিনে মুক্ত রয়েছেন বলে জানান তিনি।

লিমন বাসার/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।