ভোটার না থাকায় প্রকাশ্যে জাল ভোট
করোনা আতঙ্কে ভোটার না থাকার সুযোগে গাইবান্ধা-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা প্রকাশ্যে জাল ভোট দিয়েছেন।
শনিবার (২১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে সাদুল্লাপর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। প্রকাশ্যে জাল ভোট দিয়ে বিকেল ৫টার দিকে ভোটগ্রহণ শেষ করা হয়। এখন চলছে ভোট গণনার কাজ। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ হলেও শেষ দিকে জাল ভোট দেয়ার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক মইনুল ইসলাম সাদিক বলেন, সরকার বারবার বলে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হবে। অথচ একেকজন আওয়ামী লীগ সমর্থক কয়েকটি করে ভোট দিয়েছেন। তামাশার ভোটের কি দরকার ছিল? কাউকে বলে লাভ নেই। আমাদের এত কষ্ট দেয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না। সরকার বলে দিলেই হয় আমরা ১০০ বছর ক্ষমতায় থাকব।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল মতিন বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রগুলোতে হাত ধুয়ে ভোট কক্ষে যাওয়ার জন্য সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আড়াই হাজার কর্মকর্তা ও তিন হাজার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কাজ করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনুস আলী সরকার। ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ৬ মার্চ এ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিলে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয় ২১ মার্চ। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং জাসদের চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জাহিদ খন্দকার/এএম/এমকেএইচ