সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বন্ধুকে খুন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বন্ধুকে খুন করেছেন মোহাম্মদ আলী রুবেল নামে এক যুবক। আর পাওনা টাকা না দেয়ায় হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় আরও দুই বন্ধু। শুক্রবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী।
এ ঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ইছগাঁও গ্রামের ধনাই মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী রুবেল (২৬), নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উজিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৩০) ও মৌলভীবাজার জেলা সদরের ঘোড়াখাল গ্রামের জমশেদ মিয়ার ছেলে রনি (২৩)।
গ্রেফতারদের বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ওইদিন হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, রিপন মিয়ার ফুফাতো বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মোহাম্মদ আলী রুবেলের। সম্প্রতি রিপনদের বাড়িতে বেড়াতে আসার সুবাদে নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর গ্রামের মো. রফিক মিয়ার ছেলে জায়েদ হোসেনের (২২) সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৬ মার্চ পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। এই খবর শুনে সাবেক প্রেমিক মোহাম্মদ আলী রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এদিকে রিপন ও রনির সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল জায়েদের। বিষয়টি জানার পর মোহাম্মদ আলী রুবেল খোঁজ নিয়ে রিপন ও রনির সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনজন মিলে জায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ৪ মার্চ রাতে শেরপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে পারকুল পাওয়ার প্ল্যান্টের কাছে জায়েদের গতিরোধ করে রনি, রিপন ও রুবেল। এ সময় তারা তাকে খুন করে মরদেহ রাস্তার পাশেই ফেলে চলে যায়। পরদিন নবীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা মোছা. মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে মাঠে নামে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন আসামিকে গ্রেফতার করলে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হয়।
আরএআর/এমএস
