পটুয়াখালীতে নিত্যপণ্যে আগুন, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১০:০৭ এএম, ২০ মার্চ ২০২০

করোনাকে পুঁজি করে নিত্যপণ্য বেশি দামে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বাজারে চাল, ডাল, ডিম, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছে পটুয়াখালীর নিম্ন আয়ের মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাতে শহরের পুরাতন বাজার, নিউমার্কেট, নতুন বাজার, হেতালিয়া বাঁধঘাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১০ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালে (৫০ কেজি) বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২৫০-৩৫০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ তিন দিনের ব্যবধানে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকা, রসুন ১০ দিনের ব্যবদানে ৫০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭০ এবং প্রতিকেজি আলু দুইদিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ডিমে এক টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।

শহরের মাছ পট্টির মুদি ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, পাইকারি বাজারে চাল ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, আলুর কেজিতে ১০-৩৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

patua2

শহরে নিউ মার্কেটের মাছ বাজার এলাকার ইমাম ডিম ঘরের মালিক মো. আলম গাজী জানান, লাল-সাদা পোল্ট্রি (মুরগি) প্রতি কুড়ি ১৭০ টাকা, যা তিনদিনের ব্যবধানে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাঁসের ডিম ২৭০ টাকা যা তিনদিনের ব্যবধানে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

পুরান বাজার এলাকার মুদি ব্যবসায়ী জয় সাহা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে।

নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা সাকুর বলেন, এসি রুমে বসে তো বাজার বৃদ্ধির আগুন উপলব্ধি করা যায় না। সব জিনিসের সকালে এক দাম আবার রাতে আরেক দাম। যারা বাজার করতে আসে তারাই বুঝি আসলে কত দাম বাড়ছে।

patua2

এ বিষয়ে জেলা মার্কেটিং অফিসার নুরুন্নাহার বেগম জানান, রাতে বাজার বৃদ্ধির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক মাঠে নেমেছি। সব ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করেছি যাতে কাউকে দুই কেজির বেশি পণ্য না দেয় হয়। আমরা আজ সতর্ক করেছি। আগামীকাল থেকে ব্যবস্থা নেব।

জেলা ভোক্তা অধিকার সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া জানান, প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। কোথাও মূল্য বৃদ্ধির খবর পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।