রাজন হত্যা মামলায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ


প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫

সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় পঞ্চম দিনে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোট ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।

রোববার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবার হোসেন মৃধা ওই তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা তিন দিন রাজন হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানান রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী।
    
পঞ্চম দিনে সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন, সিলেট শহরতলির পশ্চিম জাঙ্গাইল গ্রামের আনোয়ারুল হক, কুমারগাঁওয়ের বেলাল আহমদ ও দকির গ্রামের গ্রামের আবদুল হান্নান।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে রোববার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরা হলেন, শহরতলির কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মুহিত আলম ওরফে মুহিত, তার সহোদর আলী হায়দার ওরফে আলী, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল।

রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী জানান, মামলাটি দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। গত ৭ অক্টোবর বুধবারও আলোচিত এই হত্যা মামলায় চারজনের সাক্ষ্য প্রদান করেন আদালত।

গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসি কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলার চার্জ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন।

গত ৩১ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়সীমার মধ্যে পলাতকরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারিক কাজ শুরুর লক্ষে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন।

গত ২৪ আগস্ট একই আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ পলাতক তিন আসামির মালামাল ক্রোক করে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।