ফরিদপুরে বিদেশফেরত ৩৮৩৫ জনকে খুঁজছে স্বাস্থ্য বিভাগ
ফরিদপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৩ হাজার ৮৩৫ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের নিজ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তারা সেই নির্দেশনা মানছেন না। করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা নিয়েও তারা বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
গত ১ মার্চ হতে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এরা বিদেশ থেকে এসেছেন। যাদের বেশিরভাগই ভারত থেকে দেশে এসেছেন। ইমিগ্রেশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা চলে গেছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। এসব বিদেশ ফেরত লোকদের খুঁজে খুঁজে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশের তরফ থেকে ফরিদপুরের স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিকট এ তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, ফরিদপুরে এখন পর্যন্ত ১১ জন বিদেশফেরতকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে করোনা নিয়ে আতঙ্ক না ছড়িয়ে যার যার অবস্থান থেকে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বুধবার (১৮ মার্চ) সকালে সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ২০ জন বিদেশফেরত যাত্রী নিজে উদ্যোগী হয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা সকলেই নিজ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এদের মধ্যে শহরের ঝিলটুলীর তিনজন ইতোমধ্যে সংক্রমণ ঝুঁকির সময়সীমা অতিক্রম করায় তাদেরকে মুক্তভাবে চলাফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে। জেলা শহরের বাইরে এখন পর্যন্ত চরভদ্রাসনে ১০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে তিনি জানান।
বি কে সিকদার সজল/আরএআর/এমএস