ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন শিক্ষক
পড়া ভুল হওয়ায় মানিকগঞ্জে এক মাদরাসাছাত্রকে মুখ চেপে ধরে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার করেছেন শিক্ষক। আহত ওই ছাত্র নামাজ পড়ার সুযোগে পালিয়ে বাসায় চলে যায়।
দুদিন আগে এ ঘটনা ঘটলেও সোমবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রকে ভর্তি করা হয়। সদর উপজেলার বরুন্ডী তাজবিদুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মতিউর রহমান।
আহত ছাত্র মো. লাজিম মোল্লা (১২) বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সর্বনন্দপুর গ্রামের দুবাইপ্রবাসী মোল্লার ছেলে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বদরুল আলম বলেন, শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম নিয়ে হাসপাতালে আসে ওই শিশু। শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে।
আহত ছাত্র জানায়, সে স্থানীয় বরুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাস করে। ছোটবেলা থেকে তার আরবি পড়ার প্রতি শখ থাকায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি না হয়ে ওই আবাসিক মাদরাসায় ভর্তি হয়। সে ইতোমধ্যে সিপারা পড়া শেষ করেছে। রোববার তার কোরআন ধরার কথা ছিল।
কিন্তু শনিবার এশার নামাজের পর ওই শিক্ষক তার সিপারা পড়া ধরেন। একটু ভুল হওয়ায় ওই শিক্ষক তাকে পেটাতে শুরু করেন। কান্না করলে তার মুখ চেপে ধরেন শিক্ষক। চোখ দিয়ে পানি বের হওয়ায় আরও পেটানো হয় তাকে। পরদিন ফজরের নামাজের সেজদা দেয়া অবস্থায় মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাসায় চলে আসে লাজিম।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বি.এম খোরশেদ/এএম/জেআইএম