বর-কনেও নিখোঁজ
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বরযাত্রীবাহী দুটি নৌকাডুবিতে ২৬ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে বর-কনেও রয়েছেন। এরই মধ্যে মরিয়ম (৬) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত মরিয়ম বসুয়া এলাকার রতনের মেয়ে।
শুক্রবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর শ্রীরামপুর ডিসির বাংলো এলাকায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলের সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুনের বিয়ে হয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার বরের বাড়ি থেকে বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। ফিরতি পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় কনেযাত্রীবাহী নৌকা। এতে নিখোঁজ রয়েছেন বর-কনেও।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, দুটি নৌকায় ৩৬ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এক শিশু মারা যায়। এখনও ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নৌপুলিশের পরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, খানপুরচর থেকে দুটি নৌকায় ৩৬ জন বরযাত্রী শহরের শ্রীরামপুর এলাকায় আসেন। তারা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চরে ফেরার পথে হঠাৎ উত্তাল ঢেউয়ের মুখে পড়েন। এতে দুটি নৌকা ডুবে যায়। পরে ১০ জন তীরে উঠতে পারলেও ২৬ জনই নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে বর-কনেও রয়েছেন।
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, দুটি নৌকায় ৩৬ জন আরোহী ছিলেন। নৌকা দুটি ডুবে যায়। ঘটনার পর নৌকার মাছি খাদিমুল ইসলাম (২৩), আরোহী রতন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬) তীরে উঠে আসেন।
রতন ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন জীবিত উদ্ধার হলেও তাদের মেয়ে মরিয়ম খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্তানকে আঁকড়ে ধরে সাঁতরে তীরে উঠেন এই দম্পতি। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/জেআইএম