সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ঐকমত্য
যশোরের একটি আন্তর্জাতিকমানের হোটেলে বিজিবি ও বিএসএফের ১৩তম সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রথমদিনের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসব্রিফিংকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যশোর দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল গনি খান জানান, সীমান্তহত্যা শূন্যের কোঠায় আনার ব্যাপারে দু’পক্ষের মধ্যে দিনভর বিশদ আলোচনা হয়েছে। আলোচনাকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ভারতের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়াও একই তথ্য জানিয়ে বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে যৌথ টহল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৈঠকে।
ব্রিফিংকালে অন্যান্যের মধ্যে বিজিবির রংপুর রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কায়সার হাসান মালিক, খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আরশাদুজ্জামান খান, যশোর দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিওন কমান্ডের পরিচালক ও স্টাফ অফিসার কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আলিমুল করিম চৌধুরী, বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি আশওয়ানি কুমার সিং, গোহাটি ফ্রন্টিয়ারের আইজি পাইউশ মোর্দায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবির রিজিওন কমান্ডার ও বিএসএফের আইজি পর্যায়ের চার দিনব্যাপী এই সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলনে উভয় দেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছেন। বিজিবি কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। বিএসএফের প্রতিনিধি দলটি এদিন দুপুরে বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছায়। সম্মেলন শেষে আগামী ৮ মার্চ ভারতীয় প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে যাবে।
যৌথ প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সম্মেলনে চোরাচালান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম, সীমান্ত উন্নয়ন, নারী-শিশু পাচাররোধ ও সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মিলন রহমান/এফএ/এমএস