অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনা, মালিকসহ চারজনের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনা ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ক্লিনিক মালিক ও ভুয়া চিকিৎসকসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হারাগাছ ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটকের পর রাত ৮টার দিকে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. উলফৎ আরা বেগম।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার জনৈক টংশু মোহাম্মদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রায় ২ বছর ধরে অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছিলেন হারাগাছের ধুমেরপাড় এলাকার নুরনবী মিয়ার ছেলে হাসান আলি (৩৫)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে হাসান আলীসহ ক্লিনিকের ভুয়া চিকিৎসক লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর তেলীপাড়া গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে রাজিয়া সুলতানা (২৬), কাউনিয়া উপজেলার পল্লীমারী নাজিরদহ এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে ম্যানেজার বেল্লাল হোসেন (২৬) এবং উদয় নারায়ণ মাছহারি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে অফিস সহকারী শীলা আক্তারকে (২০) আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ক্লিনিকের মালিক হাসান আলী ও ভুয়া চিকিৎসকের এক বছর করে এবং ম্যানেজার ও অফিস সহকারীর তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও মোছা. উলফৎ আরা বেগম বলেন, হাসান আলী চিকিৎসার নামে অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করাসহ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের নামে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি অনুমোদনহীন বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করে আসছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযানে কাউনিয়া থানা পুলিশ সহায়তা করে।

জিতু কবীর/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।