হবিগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মী কারাগারে
হবিগঞ্জে গ্রেফতার হওয়া জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে রাতভর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী আটক ও ককটেলসহ জিহাদী বই ও সরকার বিরোধী লিফলেট উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসআই কৃষ্ণমোহন রায় বাদী হয়ে সদর ও এসআই মুখলেছুর রহমান বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন। উভয় মামলায়ই ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কার্যে লিপ্ত থাকা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ রাখার অভিযোগ আনা হয়।
ডিবি পুলিশ জানায়, রোববার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ নিজগাঁও গ্রামের তোফাজ্জল হকের একটি বিল্ডিংয়ে জামায়াত-শিবিরের কিছু নেতাকর্মী নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। রাত দেড়টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়ির কয়েকটি কক্ষে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকে শায়েস্তাগঞ্জ থানা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মো. ইয়াছির খান, শিবির সভাপতি হুসাইন আহমদ ও শিবির কর্মী নিজাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় ওই ঘরগুলো থেকে ৫টি ককটেল, ককটেল তৈরির উপাদান, জর্দার কৌটা, ইলেক্ট্রিক বাল্ব, মোবাইল সেট, সিম, বিভিন্ন প্রকার জিহাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে জেলা শহরের মোহনপুর এলাকায় জামায়াতের সাবেক আমীর অ্যাডভোকেট আব্দুস শহীদের বাসায় দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
সেখান থেকে আব্দুস শহীদ ছাড়াও নবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী, শিবির কর্মী হাফেজ মো. মামুনুর রহমান, জহিরুল ইসলাম কয়েস ও লাখাই উপজেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই ও লিফলেট জব্দ করা হয়েছে।
অভিযান শেষে ওই কার্যালয়টি সিলগালা করা হয়। উক্ত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে আরো বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। যাচাই বাছাই শেষে ১২ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসএস/আরআইপি