বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ১২ দিন ধরে ৫ চীনা কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণে
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে সম্প্রতি চীন থেকে আসা পাঁচ চীনা কর্মকর্তাকে খনির ভেতরের হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ।
সিভিল সার্জন জানান, গত ১২ দিন আগে চীন থেকে আসা পাঁচ চীনা কর্মকর্তাকে কয়লাখনির অভ্যন্তরের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানকার চীনা চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, প্রয়োজন হলে এখান থেকে চিকিৎসক পাঠানো হবে। তবে তাদের মধ্যে এখনও করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস কারও শরীরে প্রবেশ করলে ১৪ দিন পর লক্ষণ বোঝা যায়। তাই আগামী আরও দুইদিন পর্যন্ত তাদের এই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের রয়েছে।
জানা গেছে, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি/এক্সএমসি’র অধীনে চীনের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তবে তারা সম্পূর্ণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে হওয়ায় তাদের ছুটিসহ যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি/এক্সএমসি। গত ২০ জানুয়ারি চীন থেকে আসা পাঁচজন কর্মকর্তা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে আসলে তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেই হিসেবেই তাদের খনির ভেতরের হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম বদরুল আলম জানান, এই খনিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক চীনা নাগরিক কাজ করছেন। তবে তারা ছুটিতে গেলে বা ফেরত আসলে খনি কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয় না। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই।
এমদাদুল হক মিলন/আরএআর/এমএস