রাতে ডেকে নিল প্রেমিকা, সকালে মিলল পুলিশ সোর্সের লাশ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ডেকে নিয়ে আবুল কাশেম (৫০) নামে এক পুলিশের সোর্সকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে পৌর শহরের রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আবুল কাশেম শহরের আমলাপাড়া এলাকার মৃত নাগর আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। মাদক ব্যবসায়ীরা রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আবুল কাশেমের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার বেলাব এলাকায় হলেও তিনি দীর্ঘদিন যাবত পরিবার নিয়ে শহরের আমলাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। পুলিশের সোর্সের কাজ করার পাশাপাশি তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি মাদক মামলায় তার দুই বছরের সাজা হলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে আবুল কাশেমের সঙ্গে শহরের পঞ্চবটি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রহিমা বেগম রহির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তিনি প্রায় রাতে তার বাসায় থাকতেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৮টায় রহিমা বেগম তাকে ফোনে বাসায় ডেকে আনেন। সারারাত বাসায় যাননি কাশেম। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। রহিমার বাসা থেকে একটু দূরে রেল কলোনীতে পুলিশ তার মরদেহ পায়। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই বলে জানায় পুলিশ।
কাশেমের স্ত্রী শাহারা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে বুধবার রাতে রহিমা ফোন করে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। দুদিন আগে পঞ্চবটি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সানু ও তার বোন সুমি বেগম আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আমার ধারণা- তারা তিনজনসহ পঞ্চবটি এলাকার একটি মাদকচক্র আমার স্বামীকে গলাটিপে হত্যা করেছে। আমি এ ব্যাপারে থানায় মামলা করবো।
ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. শাহিন জানান, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত কাশেমের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে তার একটি জুতা রাস্তায় পাওয়া গেছে। ঠিক কী কারণে কারা তাকে হত্যা করল তা তদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর/জেআইএম