পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকরা করোনাভাইরাসমুক্ত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সবখানে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সতর্কতা অবলম্বন করে চলছে বাংলাদেশও। কারণ চীনের অনেক নাগরিক বাংলাদেশে কর্মরত। এর মধ্যে সর্ববৃহৎ মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজে চীনের দুটি কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।

যেখানে ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান, ফোরম্যান ও বিভিন্ন কর্মকর্তা মিলে এক হাজারেরও অধিক চায়না নাগরিক কাজ করেন। পাশাপাশি প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি রয়েছে এ কর্মযজ্ঞে। তবে এ প্রকল্পে কর্মরত চায়না নাগরিকরা করোনাভাইরাস সংক্রামক থেকে মুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের শুরু থেকেই আমাদের দুই পাড়ে সরকারিভাবে দুটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। পাশাপাশি সার্ভিস এড়িয়াগুলোতে মোট চারটি মেডিকেল ক্যাম্প রয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত শ্রমিক থেকে শুরু করে কর্মকর্তাদের শারীরিক চেকআপসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যে চায়নাসহ স্থানীয় সব কর্মকর্তা-শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে চেকআপ করা হয়েছে। তবে কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।

শফিকুল ইসলাম জানান, ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে যে কোনো ধরনের আশঙ্কা এড়াতে সদ্য চীন থেকে আসা প্রকৌশলী বা অন্যদের আপাতত কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। প্রকল্পটি গতিশীল রাখার জন্য যতটুকু সেফটি প্রয়োজন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

দ্বিতল এ সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মূল ব্রিজ আর নদীশাসনের কাজ করছে চায়নার দুটি কোম্পানি চায়না মেজর ব্রিজ ও সিনোহাইড্রো। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হতে পারে এ পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ।

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।