বগুড়ায় যুবলীগ কর্মীসহ দুইজনকে হত্যা
বগুড়ায় পৃথক ঘটনায় দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, রোববার রাতে প্রেমঘটিত বিরোধের জের ধরে মিলন হোসেন (৩৫) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত মিলন বগুড়া সদর উপজেলার হাজরাদীঘি তালুকদারপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, হাজরাদীঘি বাজারে দুর্বৃত্তরা মিলনকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বগুড়া সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বগুড়া সদর থানা পুলিশের (এসআই) মোসাদ্দেক জানান, মিলন খুনের ঘটনায় রাজেনা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রেমঘটিত বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বগুড়ার কাহালুতে শোবার ঘর থেকে সাহেব আলী (৩২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সাহেব আলী কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের বড় পুকুরিয়া গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের স্ত্রী ফায়মা খাতুনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে।
কাহালু থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোজাম্মেল হক জানান, রোববার ভোরে সাহেব আলীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করা হয়েছে। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাহেব আলীর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লিমন বাসার/এআরএ/পিআর