নামে মিল থাকায় জেল খাটছেন নিরপরাধ রফিকুল

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক শ্রীপুর (গাজীপুর)
প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২০
গ্রেফতার চা দোকানি রফিকুল ইসলাম

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রকৃত আসামির সঙ্গে নাম ও বাবার নামের মিল থাকায় এক চা দোকানিকে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত পাঁচ দিন ধরে জেল খাটছেন নিরাপদ চা দোকানি রফিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার (১৭ই জানুয়ারি) বিকেলে চায়ের দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মামলার মূল আসামি রফিকুল ইসলামের জাতীয় পরিচয়পত্র (১৯৮০৩৩২৮৬০৮০৪১৮৯৭) অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৬ই জানুয়ারি ১৯৮০, বাবা- নুর মোহাম্মদ, মা- রহিমা খাতুন এবং ভোটার সিরিয়াল নং- ১৬১১। পুলিশের ভুলে গ্রেফতার হওয়া কেওয়া পশ্চিম খণ্ড মসজিদ মোড় এলাকার নুর নুর মোহম্মদের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম। জাতীয় পরিচয়পত্র (৩৩২৮৬০৮০৪৪১৫২) অনুযায়ী তার জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৭৭। তার বাবার নামও নূর মোহাম্মদ, মায়ের নাম জামিনা খাতুন।

জানা যায়, তিন-চার বছর আগে শ্রীপুর বনবিভাগ অবৈধ করাতকলে গজারি গাছ চেড়াইয়ের অভিযোগে শ্রীপুর পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিম খন্ডের নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন। পরবর্তীতে মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করে আদালত। গত শুক্রবার (১৭জানুয়ারি) শ্রীপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কফিল উদ্দিন আদালতের পরোয়ানা তামিল করতে কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মসজিদ মোড় এলাকায় যান। সেখান গিয়ে তিনি নুর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলামকে খুঁজতে থাকেন। মসজিদ মোড়ের পাশেই চা দোকানি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে বলে জানান।

পরে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে স্থানীয়রা জানান, তিনি কখনই কাঠের ব্যবসা করেননি। তিনি মূল আসানি নন। এ সময় চা দোকানি রফিকুলও পুলিশের কাছে খুব অনুনয়-বিনয় করছিলেন। কিন্তু পুলিশ কারও কথা না শুনে চা দোকানি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।

মামলার প্রকৃত আসামি রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘ ২০-২২ বছর ধরে কাঠের ব্যবসা করছেন। বন বিভাগ কারণে-অকারণে কয়েকটি মামলা দিয়েছিল। যে মামলাটিতে পুলিশ ভুলবশত চা দোকানি রফিকুলকে গ্রেফতার করেছে সেই মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। জামিনে থাকার পরও পুলিশের এমন আচরণে হতবাক হয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কফিল উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শিহাব খান/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।