টাঙ্গুয়ার হাওরে দেখা গেল বিরল প্রজাতির পাখি

রিপন দে
রিপন দে রিপন দে মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০৬:৪০ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২০

অডিও শুনুন

দেশের হাওর, বাঁওড়, বিল, হ্রদসহ অসংখ্য জলাশয় এখন অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্য। টাঙ্গুয়ার হাওরকে পরিযায়ী পাখির স্বর্গ বলা যায়। এবার টাঙ্গুয়ার হাওরে ৩৫ প্রজাতির ৫১ হাজার ৩৬৮টি জলচর পরিযায়ী পাখি গণনা করা হয়েছে।

চলতি বছর বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন, ওয়াইল্ড বার্ড মনিটরিং ও বাংলাদেশ বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত পাখি শুমারিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ১৫ জানুয়ারি থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ১০ দিনের পাখি গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। যা শেষ হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি।

Eurasian-Wigeon

গতকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইনাম আল হক, আইইউসিএন’র গবেষক সাকিব আহমেদ, জেনিন আজমিরী, রিবাউন্ড বার্ড ক্লাবের সদস্য পল থমসন ও যুক্তরাজ্যের পাখি পর্যবেক্ষক জেমস পেন্ডারসহ একটি দল দিনব্যাপী পাখি শুমারি চালায়।

ওয়াইল্ড বার্ড মনিটরিংয়ের মুখ্য গবেষক ও আইইউসিএন’র বাংলাদেশের মুখ্য গবেষক সীমান্ত দীপু জাগো নিউজকে বলেন, আইইউসিএন ও লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় ওয়াইল্ড বার্ড মনিটরিং প্রোগ্রাম টাঙ্গুয়াতে পাখি শুমারি ও পাখির গায়ে স্যাটেলাইট রিং পরানোর যাবতীয় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

Eurasian-Wigeon

তিনি বলেন, চলতি বছর পাখি শুমারিতে আমরা ৫৩ প্রজাতির ৫১ হাজার ৩৬৮টি জলচর পাখি পেয়েছি। এর মধ্যে সর্বাধিক নয় হাজার ৯২৫টি পাতি কুট পাখির দেখা মিলেছে। লাল মাথার ভুতিহাঁস পেয়েছি আট হাজার ৩৯৪টি, পাতি তিলিহাঁস সাত হাজার ২৭৮টি, লেঞ্জাহাঁস পাঁচ হাজার এবং ইউরেশীয়-সিঁথিহাঁস চার হাজার ৮৪৬টি। তবে এর মধ্যে অনেক বিরল ও বিপন্ন পাখির দেখা পেয়েছি আমরা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১২০টি খয়রা কাস্তেচরার দেখা মিলেছে।

Eurasian-Wigeon

এবারও পাখির গায়ে স্যাটেলাইট রিং পরানো হচ্ছে জানিয়ে গবেষক সীমান্ত দীপু বলেন, গত বছর আমরা ৪৪টি পাখিকে রিং পরিয়েছি। ওই ৪৪টি পাখির মধ্যে বেশ কিছু এবছর ফিরে এসেছে। এর মধ্যে দুটি পাখি হাওরে রয়েছে।

Eurasian-Wigeon

জানুয়ারিতে পাখির সংখ্যা ৫১ হাজার থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে তা দুই লাখে পৌঁছাবে জানিয়ে এই গবেষক বলেন, পানি যত কমবে জলজ উদ্ভিদ তত ভেসে উঠবে। জলজ উদ্ভিদ এসব জলচর পাখির প্রধান খাবার। খাবার ভেসে উঠলে এদের আগমন বাড়বে। ধারণা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ পাখির আগমন ঘটবে এখানে। গত জানুয়ারি মাসে প্রায় দেড় লাখের মতো পরিযায়ী পাখি টাঙ্গুয়াতে ছিল। কারণ তখন পানি কম ছিল। জলজ উদ্ভিদ ভেসে উঠেছিল।

এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।