অফিসে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তাকে পেটালেন আ.লীগ নেতার ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২০

অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহীর বাঘায় রাস্তার নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের মারধরের শিকার হয়েছে এক প্রকৌশলী।

গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা সদরে নিজ দপ্তরেই হামলার শিকার হন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মেদ।

হামলা চালিয়েছেন বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম আহম্মেদ।

জানা গেছে, ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় ৫শ মিটার সাব-বেইজ রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ পায় রাজশাহীর ‘মম এন্টারপ্রাইজ’। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস সরকার এ কাজ করছিলেন। পুরো কাজ দেখভাল করছিলেন তার বড় ছেলে সেলিম আহাম্মেদ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুরু থেকেই রাস্তা নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছিল ঠিকাদার। বিষয়টি রোববার সকালে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানায় এলাকাবাসী। অভিযোগ পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে আসেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহাম্মেদ। অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে তিনি নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে ফিরে যান।

খবর পেয়ে ঠিকাদার আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম আহম্মেদ উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহাম্মেদের দপ্তরে যান। কাজ বন্ধ করায় তিনি ওই প্রকৌশলীর ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন। অফিসের অন্য কর্মীরা এসে তাকে রক্ষা করেন। পরে তার বিচার দাবিতে বিক্ষোভও করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানতে চাইলে প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন সেলিম আহাম্মেদ। অন্যদিকে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কুদ্দুস সরকার।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার জানান, বেআইনিভাবে সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলা হয়েছে। এটা গুরুতর অপরাধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেরদৌস/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।