শিশু রাজনের নামে নির্মিত হচ্ছে ‘প্রতিবাদী স্মৃতিস্তম্ভ’


প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৫

সিলেটে নির্মম নির্যাতনে খুন হওয়া শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনের নামে নির্মিত হচ্ছে ‘প্রতিবাদী স্মৃতিস্তম্ভ’। সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ের তেমুখী এলাকায় এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হবে। সিলেটের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর উদ্যোগে প্রতিবাদী এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য নিজের বরাদ্দ থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন।

জানা যায়, সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী নিজের বরাদ্দ থেকে দুই লাখ টাকা স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি শিশু রাজনের গ্রামের বাড়ি শহরতলির বাদেআলী গ্রামে গিয়ে তার বাবা শেখ আজিজুর রহমান ও মা লুবনা বেগমের সঙ্গে দেখা করে অনুদানের চিঠি (ডিও লেটার) প্রদান করেন।

ওই সময় এমপি কেয়া বলেন, দেশের কোনো শিশু যাতে আর নির্যাতিত না হয়-এর প্রতিবাদ হিসেবে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। এটি একই সঙ্গে খুনিদের প্রতি ঘৃণা জানানোরও মাধ্যম হিসেবে থাকবে।

রাজনের বাবা-মার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবি ফাতেমা ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিটি কাউন্সিলর সাহানা বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী আসমা কামরান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহাত তরফদার।

গত ৮ জুন কুমারগাওয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল শিশু রাজনকে। ১৩ বছরের শিশু রাজনকে নির্যাতনকালে নির্যাতনকারীরাই শিশুটিকে পেটানোর ভিডিও ধারণ করে এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে দেশ বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার গত ১৬ আগস্ট ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। ১ অক্টোবর থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

যদিও রাজনকে নির্যাতনের মূল হোতা কামরুল ইসলামকে এখনো সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

ছামির মাহমুদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।