‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়ন শুরু, বদলে যাচ্ছে ১০ বস্তি
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮-তে একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার আছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ: আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।’ এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ১০টি বস্তির সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেছে কক্সবাজার পৌরসভা।
তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতীকরণ প্রকল্পের (ইউজি-৩) আওতায় আট কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৪ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিক বরাদ্দ এলো দুই কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) বিকেলে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের এসএম পাড়ায় বস্তি উন্নয়নকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, এ প্রকল্পে শুধু এসএম পাড়ায় ৯১১ মিটার ফুটপাত, ৯১১ মিটার ড্রেন, পাঁচটি টিউবওয়েল, পাঁচটি টয়লেট, ১০টি সোলার স্ট্রিট লাইট, একটি ডাস্টবিন এবং ১০০টি বৃক্ষরোপণসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য প্রাথমিক বরাদ্দ এসেছে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ২৯২ দশমিক ৩৭ টাকা।
বস্তি উন্নয়নকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
একইভাবে ৩নং ওয়ার্ডের কানাইয়ারপাড়া বস্তির উন্নয়নের জন্য ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, ৪নং ওয়ার্ড পেশকারপাড়া বস্তির উন্নয়নে ৮২ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৭ টাকা, ৬নং ওয়ার্ড পল্যাইন্যাকাটা বস্তির উন্নয়নে ৭৯ লাখ ৮২ হাজার ৬১১ টাকা, ৭নং ওয়ার্ড টেকনাফ পাহাড় আশুরঘোনা বস্তির উন্নয়নে ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ টাকা, একই ওয়ার্ডের অলিরঘোনা হালিমা পাড়া বস্তির উন্নয়নে ৮৩ লাখ ১১৫ টাকা, ৯নং ওয়ার্ড মৌলভী পাড়া বস্তির উন্নয়নে ৮৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৮ টাকা, একই ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোনারপাড়া বস্তির উন্নয়নে ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৫ টাকা, ১২নং ওয়ার্ড ফাতেরঘোনা লাইট হাউজ পাড়া বস্তির উন্নয়নে ৮৩ লাখ ২০ হাজার ৩০০ টাকা, একই ওয়ার্ডের আদর্শ গ্রাম বস্তির উন্নয়নে ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৯ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে।
উন্নয়নকাজ শুরু হওয়া বস্তির বাসিন্দারা জানান, কাউন্সিলরদের সহযোগিতায় মেয়রের নেয়া বস্তির উন্নয়ন প্রকল্প অবহেলিত এলাকার জীবনযাত্রা পাল্টে দেবে। শুরু হওয়া কাজ বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে অনুন্নত বস্তিগুলোর দুর্ভোগ। দীর্ঘদিন পর হলেও আমাদের অধিকার বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় পৌর পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে এসব উন্নয়ন পৌরবাসীর অধিকার। নানা কারণে এসব কাজ না হওয়ায় তৃতীয় শ্রেণির পৌর এলাকার মতো সুযোগ ভোগ করেছে অধিবাসীরা। পৌর কর আদায় করা বাসিন্দারের ন্যায্য অধিকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ ঘোষণা বাস্তবায়নে বস্তি উন্নয়নের কাজগুলো শুরু হয়েছে। এখন শতভাগ সচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা দরকার। এ ব্যাপারে নজর রাখতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/এমকেএইচ