যৌতুক না পেয়ে নববধূর শরীরে ছ্যাকা
লক্ষ্মীপুরে যৌতুক না পেয়ে পারভীন আক্তার নামে এক নববধূর শরীরের লোহার গরম ছ্যাকা দেয়া হয়েছে। এসময় তাকে মারধর করে গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়ো লাগিয়ে নির্যাতন করারও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিত ওই গৃহবধূ।
এর আগে বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের আটিয়াতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই গৃহবধূ বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পারভীন আক্তার ও তার স্বজনেরা জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আটিয়াতলী এলাকার আবু ছিদ্দিকের ছেলে মুরাদ হোসেন গত চার মাস আগে বাঞ্চানগরের আব্দুস শহিদের মেয়ে পারভীনকে বিয়ে করে। এরপর যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তার পরিবার ৫০ হাজার টাকা দেয়। পরে শ্বশুরপক্ষের কাছে আরো তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে মুরাদ ও তার পরিবার।
যৌতুকের টাকা না পেয়ে গত বুধবার রাত ৮টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে মুরাদ, তার ভাই রিয়াজসহ পারভীনকে মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে জোরপূর্বক বুকে লোহার গরম ছ্যাকা ও গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়ো লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে তার মা ও বাবা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
পারভীনের মা শিউলি আক্তার বলেন, বিয়ের পর জামাই ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নেয়। পরে আরো তিন লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা না পেয়ে হত্যার উদ্দেশে নির্দয়ভাবে আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে। এর বিচার চাই আমি।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার কমলাশীষ রায় জানান, পারভীনের বুকে আগুনের ছ্যাকাসহ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গোপনাঙ্গেও মরিচের গুড়ো দিয়ে নির্যাতনের আলামত দেখা গেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
কাজল কায়েস/বিএ
