বাবার সঙ্গে অভিমান করে মেয়ের নদীতে ঝাঁপ


প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০১৫

সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে সাদিয়া মেহজাবিন লুবনা (২৬) নামে এক গৃহবধূ শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। বাবার সঙ্গে অভিমান করে বৃহস্পতিবার দুপুরে লুবনা কাঁচপুর সেতুর উপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন বলে পুলিশ জানায়।

বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা ঢাকা থেকে আসা ডুবুরি দল লুবনাকে খুঁজতে শীতলক্ষ্যা নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে। সর্বশেষ সন্ধ্যা সাতটার দিকেও ডুবুরি দল লুবনাকে জীবিত কিংবা তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। এসময় নদীর তীরে উৎসুক জনতার ভীড় জমে যায়। লুবনা শরীফ মাহমুদ লিটনের স্ত্রী।

ঢাকার কদমতলী থানার মাতুইয়াল এলাকার পাটোয়ারী বাড়ির ভাড়াটিয়া মোশাররফ হোসেনের মেয়ে সাদিয়া মেহজাবিন লুবনার শাহীন নামে একটি ছেলে সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার শাহীনের জন্মদিন ছিল।

আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলের জন্মদিন পালন না করায় লুবনা তার বাবার সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হন। দুপুরে কাঁচপুর সেতু এলাকায় পৌঁছে বাবার সঙ্গে মোবাইলে লুবনার শেষ কথা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, লুবনা মোবাইল ফোনে তার বাবাকে বলেন আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি। আমার আত্মহত্যার জন্য কোনোভাবেই আমার স্বামী দায়ী নয়। আমার একমাত্র ছেলে শাহীনকে তোমরা দেখে রেখো। এ কথা বলেই লুবনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর থেকে লুবনার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, লুবনার বাবা মোশাররফ হোসেন কাঁচপুরে ছুটে এসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঢাকার সদর দফতরের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দলকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরের স্টেশন অফিসার দেবাশিষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে চার সদস্যের ডুবুরি দল বিকেল ৩টায় কাঁচপুরে এসে শীতলক্ষ্যা নদীতে তল্লাশি শুরু করে। তবে অন্ধকার হয়ে পড়ায় ডুবুরি দল সন্ধ্যা সাতটায় তল্লাশি স্থগিত ঘোষণা করে। শুক্রবার সকালে আবারও শীতলক্ষ্যা নদীতে তল্লাশি করা হবে বলে স্টেশন অফিসার দেবাশিষ বিশ্বাস জানান।

লুবনার বাবা ঢাকার মৌলভীবাজার শাখার আইএসআইসি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে জানিয়েছেন তিনি।

হোসেন চিশতী সিপলু/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।