শীতে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরা
প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার জনজীবন। কনকনে শীতে যে যার মতো ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে। তবে সব থেকে বেশি বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষজন। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে এসব ছিন্নমূল মানুষ।
এদিকে সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট এলাকাসহ উপজেলা সদরের হাট-বাজারগুলোতে ফুটপাতে শীতের পোশাক সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। মার্কেটের দোকানে ভিড় না থাকলে শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন অনেকেই। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষরা ছুটছেন ফুটপাতের এসব দোকানে।
শহরের নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে তৌহিদুল ইসলামের শীতের কাপড়ের দোকান। এখান থেকে শীতবস্ত্র কিনেছেন শহরের বাঁকাল এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ। তিনি জানান, হঠাৎ প্রচণ্ড শীত শুরু হয়েছে। ঠান্ডা নিবারণের জন্য একটি জ্যাকেট কিনেছি।
শহরের মুনজিতপুর এলাকার আবুল কালাম বলেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে মানুষ বিপাকে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা কাজে যেতে পারছেন না। শীত নিবারণের জন্য অনেকে ফুটপাতের কম মূল্যের শীতবস্ত্র কিনছেন। যাদের সেই সামর্থও নেই তারা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের শীতবস্ত্র বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম জানান, শীতের আগমন হলেও এতদিনে খুব একটা শীত পড়েনি। যে কারণে বেচা-বিক্রিও কম ছিল। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনে আমি ১২ হাজার টাকার মতো বেচাকেনা করেছি। লাভ হয়েছে ৩-৪ হাজার টাকা।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ জুলফিকার আলী জানান, শনিবার সাতক্ষীরায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। তাপমাত্রা আরও কমবে।
শিশু ও বয়স্কদের সর্তকর্তা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। শিশুরা আক্রান্ত হয় বেশি। শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ঠাণ্ডা লাগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আকরামুল ইসলাম/এমবিআর/এমকেএইচ