নিজের ইচ্ছামতো অফিস করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৯:২০ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

নিয়মিত অফিস করেন না নেছারাবাদ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানষ কুমার দাস। নিজের ইচ্ছামতো অফিসে আসেন, চলে যান সুবিধা অনুযায়ী। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত তার অফিস ছিল তালাবদ্ধ।

এ নিয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুকে আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ‘Uno Nesarabad’ নামে ওই ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘সকাল ১০.০০ টা জনাব মানষ কুমার দাস, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, নেছারাবাদ এর কার্যালয় প্রতিদিনের মতই বন্ধ। তিনি নিজের ইচ্ছামত কার্যালয়ে আসেন এবং যান। অথচ সরকার সকল কর্মকর্তাকে সকাল ৯.০০ ঘটিকায় কার্যালয়ে বাধ্যতামূলক থাকতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।’

মুহূর্তেই ওই পোস্টে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করেন অনেকে। আমিনুল ইসলাম তালুকদার নামে এক স্কুলশিক্ষক সেখানে মন্তব্য করেন, স্যার, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর একটা তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।

সিকদার অরূপ নামে অপর এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, স্যার অফিসিয়াল ব্যবস্থা নিতে পারেন, আমরা সবাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে জানতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানষ কুমার দাসের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমি গাড়িতে। সব সময় অফিস যেতে দেরি হয় না। মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন আমাকে মাঠে থাকতে হয়। তাই অফিসে উপস্থিত হতে দেরি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানষ কুমার দাস গত এক বছর ধরে নেছারাবাদ উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি বরিশালে। পরিবার নিয়ে তিনি সেখানে থাকেন। যখন ইচ্ছা হয় তখন বরিশাল থেকে অফিসে আসেন।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, মানষ কুমার নিয়মিত অফিসে অনেক দেরি করে আসেন। প্রায় সময়ই তার অফিসে তালা ঝুলানো দেখা যায়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মাহামুদুর রহমান মাসুদ/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।