ঘরে উঠছে জুমের পাকা ফসল


প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

হৈ হৈ জুমত যেবং, জুমত যেইনে ঘচ্যা সুতো তুলিবং, ঘচ্যা সুতো তুলিনে টেঙা কামেবং। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী চাকমা সম্প্রদায়ের একটি জুমনৃত্য সঙ্গীত। এর বাংলা অর্থ হলো, হৈ হৈ জুমে যাবো, জুমে গিয়ে তিল তুলা উঠাবো, তিল তুলা উঠিয়ে টাকা রোজগাড় করবো। গানটি এখন তরুণ-তরুণীদের মুখে মুখে। মনের আনন্দে গানের সুরে সুরে জুমের পাকা ধানসহ ফসল ঘরে তুলছেন জুমচাষিরা।
 
অনেক জুম ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের চাষিরা এখন ঘরে জুমের পাকা ফসল তুলতে ব্যস্ত। কাটছেন জুমের পাকা সোনালি ধান। পার্বত্যাঞ্চল জুড়ে চলছে জুমের পাকা ফসল কাটার উৎসব।

পার্বত্য তিন জেলায় বিস্তর জুম চাষ করেন আদিবাসী পাহাড়িরা। এটি তাদের আদিম পেশা এবং জীবনজীবিকার অন্যতম উৎস।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছরও রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ব্যাপক জুমচাষ হয়েছে। হয়েছে বাম্পার ফলনও। এতে হাসি ফুটেছে জুমচাষিদের মুখে। জুমক্ষেতে আবাদ করা সোনালি ফসল এখন ঘরে তুলছেন তারা। জুমের সোনালি ফসল ঘরে তোলার পাশাপাশি আদিবাসীদের ঘরে ঘরে আয়োজন চলছে নবান্ন উৎসবের। জুমের পাকা সোনালি ফসল ঘরে তোলার খুশিতে মন ভরেছে আদিবাসী জুমিয়া তরুণ-তরুণীদের। তারা গানে গানে মাতিয়ে তুলেছেন পাকা ফসলে ভরা সোনালি জুমপাহাড়। জুমচাষিদের মনে এখন ঘরে ফসল তোলার আনন্দ।

তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর পাহাড়ের ঢালে জঙ্গল পরিস্কার করে জুমক্ষেতের চাষাবাদ হয়ে আসছে। এবার মৌসুমে কেবল শুরু জুমক্ষেতের পাকা ধান কাটা। জুমে ধান ছাড়াও চাষ হয় মারফা, চিনার, ফুটি, বেগুন, মরিচ, ধুন্দল, ঢেঁড়শ, কাকড়ল, কুমড়াসহ ইত্যাদি মিশ্রফসল। এসব ফসল ঘরে তোলা শেষ পর্যায়ে প্রায়। পাকা ধান উঠানোর পর ঘরে উঠবে তিল, যব ও তুলা।

সুশীল প্রসাদ/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।