ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে মাগুরা


প্রকাশিত: ০৪:২৭ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কোনো জাতীয় নির্বাচন, উপ-নির্বাচন বা পৌর নির্বাচন নয় তবুও পোস্টার, ব্যানার আর সাইনবোর্ডে ছেয়ে গেছে মাগুরা শহর। সীমানা প্রাচীর, বৈদ্যুতিক খুঁটি, হাসপাতাল স্কুল-কলেজের দেয়াল ভরে গেছে পোস্টার ও দেয়াল লিখনে। সেই সঙ্গে চলছে পাল্লা দিয়ে মাইকের প্রচারণা। ফলে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে পারছে না। গাড়ি চালকরা পড়েছেন বিপাকে।

মাগুরা শহরে সারাদিন চলছে উচ্চস্বরে মাইকে প্রচার-প্রচারণা। আর আছে যৌন রোগ নিরাময়ের লিফলেট বিতরণ। এর ফলে শহরে দুর্ঘটনা বাড়ছে। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা হচ্ছে বিপথগামী। এসব ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার। যৌন রোগসহ সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য ভুয়া হারবাল চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান। চিকিৎসার নামে চলছে প্রতারণা।

Magura-Photo

তাদের বিলবোর্ড, সাইন বোর্ড, ব্যানার, সবচেয়ে বেশী। এর সঙ্গে আছে কোচিং বাণিজ্যের প্রচারণা। আছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাইনবোর্ড। সারাদিন চলে মাইকে প্রচারণা। এদের মধ্যে ক্লিনিক ব্যবসায়ীরা সবার চেয়ে এগিয়ে।

সাইনবোর্ড, ব্যানার, প্রভৃতি লটকানো হয়েছে শহরের ব্যস্ততম এলাকা ও মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশে। এগুলি ঝুলানো হয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, বিদ্যুতের মেইন লাইনের তারে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডের ওপর। এছাড়া স্কুল, কলেজে ও হাসপাতালের দেয়াল সব জায়গায় পোস্টারিং। বিশেষ করে মাগুরা-ঝিনাইদাহ মহাসড়কের ভায়না হতে ইছাখাদা বাজার পর্যন্ত এসব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, পোস্টার ও মাইকিং বেশি চোখে পড়ে।

মাগুরা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলাম মঞ্জু জাগো নিউজকে জানান, শব্দ দূষণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান। দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে ওঠে অর্থলোভী এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা। অধিকাংশ সময়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়।

ড্রাইভার হাফিজ মোল্লা জাগো নিউজক জানান, ট্রাফিক নির্দেশনা ঢেকে যাওয়ায় এলাকায় নবাগত গাড়িচালকরা ভুল পথে চলে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। চালকরা কোথায়? স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বুঝতে পারেন না  হারবাল চিকিৎসকদের লিফলেট ও অন্যান্য প্রচার প্রচারণর কৌশলে।

Magura-Photo

মাগুরার সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, পৌর এলাকার ভেতরসহ হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজের সামনে উচ্চস্বরে সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাইকিং নিষিদ্ধের কথা থাকলেও মাগুরায় এসবের তোয়াক্কা করছেন না কেউই। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরাসহ সাধারণ মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছনে।

এলাকাবাসী এ অবস্থার নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন। এ বিষয়ে মাগুরার পুলিশ সুপার (এসপি) একেএম এহসান উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, এসব কারণে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিপথগামী হচ্ছে। বাড়ছে যৌন অপরাধ। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।