কিবরিয়া হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ


প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

দীর্ঘ দশ বছর পর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ আজ (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে। এ মামলায় সাক্ষী রয়েছেন মোট ১৭৩ জন। সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র জি কে গৌছ, হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ জঙ্গি মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ৩২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।

আজ অভিযুক্ত সকল আসামি আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী চিকিৎসাজনিত কারণে সিলেটের বাইরে থাকায় তার পক্ষে আদালতে হাজির থাকবেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা।

আদালত সূত্র জানায়, কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জগঠন এরই মধ্যে ৯ বার পিছানো হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর ছিল কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জগঠনের সর্বশেষ তারিখ। তবে আসামি কারাবন্দী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অসুস্থ থাকায় এবং তাকে আদালতে হাজির না করায় ওই দিন চার্জগঠন হয়নি।

ওইদিন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। ওই তারিখে ৩২ আসামির মধ্যে ২২ আসামির উপস্থিতিতে সকল আসামির বিরুদ্ধে এ চার্জগঠন হয়। মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ১৪ জন কারাগারে, ৮ জন জামিনে এবং ১০ জন পলাতক রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাংসদ আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

এর মধ্যে ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে ৩২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আরিফুল এ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হিসেবে কারাবন্দী আছেন।

ছামির মাহমুদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।