অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ইউনুস তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মথিকুল রহমান ফরিদ, আনোয়ার হোসেন বাদল, বাছেদ মিয়া, মাহমুদুর রহমান খান বিপ্লব, সাজ্জাদ খোশনবীশ, মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), মো. আহ আলম, মো. রুবেল আনছারি, মো. নাসির উদ্দিন, মো. হাবিব খান, ইকবাল চৌধুরী, বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী, জহিরুল, জিয়াদ সিদ্দিক, মো. মামুন খান ও মো. মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।
চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান ভূঁইয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক শহীদুল্লাহ কায়সারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর মই থেকে পড়ে কালিহাতী উপজেলার মহেলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান ভূঁইয়ার বাম পা ভেঙে ও কোমরের জয়েন্ট ফেটে যায়। ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি
২১ নভেম্বর হাসপাতালের ডা. শহীদুল্লাহ কায়সার বেডে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে দেখতে আসেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধার ফাইলে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেখে রেগে গিয়ে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট এখানে কেন? সার্টিফিকেট চিকিৎসা করবে না আমরা চিকিৎসা করব।’ এই বলে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটটি ফাইল থেকে ছিঁড়ে ফেলেন ওই চিকিৎসক। চিকিৎসকের এমন আচরণে আশপাশের লোকজন হতভম্ব হয়ে পড়েন।
এ ঘটনার পর চিকিৎসক শহীদুল্লাহর চিকিৎসা সনদ বাতিল এবং তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’।
আরিফ উর রহমান টগর/এএম/এমএস