রায়পুরায় ২ শতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন


প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ২ শত বাড়ি-ঘর। ফলে খোলা আকাশের নিচে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে এ সকল অসহায় পরিবারগুলো।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-আয্হার দিন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চাঁনপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে থেমে থেমে চলছে ভাঙন। জেলা প্রশাসন থেকে লিজ নিয়ে বালু দস্যুরা ড্রেজারের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। ফলে নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে দেবে গেছে এই গ্রামটি। বসতি হারিয়ে ২ শতাধিক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

আরো জানা গেছে, চাঁনপুর ইউনিয়নের কালিকাপুরসহ আশপাশ এলাকার মেঘনা নদীতে বালু দস্যুরা গ্রামের মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে নিচ্ছে। প্রসাশনের কাছে একাধিকবার প্রতিকার চেয়েও কোনো সমাধান পাইনি এলাকাবাসী। প্রতিবাদ করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ দস্যুদের হামলায় আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। এমনকি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন একাধিক সংবাদ কর্মী।

কালিকাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওমর ফারুক জানান, ঈদের দিন ভোর থেকে নদীতে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। গ্রামটির প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভূমিতে বসবাসরত প্রায় ২ শতাধিক পরিবারে কাঁচা-পাকা বাড়িঘর, গাছপালা, ফসলি জমি নদী গর্ভে দেবে (নিশি লাগে) যায়। এতে প্রায় ৫০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু কমবেশি আহত হয়েছেন।

এদিকে, গ্রামবাসী জীবন বাঁচাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। আর এ দৃশ্য দেখতে পার্শ্ববর্তী বি. বাড়িয়া জেলার নবীনগর, বাঞ্চারামপুর ও নরসিংদীর কয়েকটি এলাকার শতশত মানুষ নৌকা নিয়ে ভাঙন প্রবণ এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে। এলাকা পরির্দশন করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কাইয়ূমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সরকারের পক্ষ থেকে এখনোও পযর্ন্ত সাহায্য সহযোগিতা পায়নি।

সহায়-সম্পত্তি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় তাদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। আলী আজগর বলেন, কয়েক মাস আগেও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বেশ কিছু পরিবার। ওই ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো সাহায্য পাওয়া যায় নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ কামাল জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সঞ্জিত সাহা/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।