গণধোলাইয়ের শিকার সেই ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০১:১১ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম ও দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের ওই তিন সদস্যসহ পাঁচজন ও দুই সোর্সকে আসামি করে সখীপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।

সখীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আইনুল হক বাদী হয়ে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে মামলাটি করেন। আটক তিন পুলিশ সদস্য ও এক সোর্সকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর সখীপুরের হাতিবান্দা ইউনিয়নের হতেয়া ভাতকুড়াচালা গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে বজলুর রহমান তাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে চার কনস্টেবল ও দুই সোর্স সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে এসে বজলুর পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেন। তাকে আটক করে ফাঁড়িতে নেয়ার চেষ্টা করেন। একই এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া ঘটনাটি দেখতে পেয়ে দৌড়ে রাজাবাড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে স্থানীয় লোকজনকে জানান। পরে স্থানীয় জনতা পুলিশ সদস্যদের সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও জনতার মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে।

তারা পুলিশ সদস্যদের আটক করে রাজাবাড়ি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের মারপিট করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। এ সময় পুলিশের দুই কনস্টেবল ও এক সোর্স পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মির্জাপুর সার্কেল, মির্জাপুর থানা, বাঁশতৈল ফাঁড়ি ও সখীপুর থানা পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাত ৯টার দিকে তাদের উদ্ধার করে সখীপুর থানায় নিয়ে যায়।

আটক পুলিশ সদস্যরা হলেন- মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গুলরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোজাটি গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে মো. রাসেলুজ্জামান ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার ঢুলদিয়া গ্রামের জীবন সাহার ছেলে গোপাল সাহা এবং সোর্স মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল নয়াপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওমর ফারুক জানান, এক এএসআই ও চার কনস্টেবল এবং দুই সোর্সের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। তাছাড়া জনতার হাতে আটক পুলিশের তিন সদস্য ও এক সোর্সকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে নেয়া হয়েছে।

সখীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পলাতক দুই পুলিশ কনস্টেবল ও এক সোর্সকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

এস এম এরশাদ/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।