বমেকের গেটে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে এবং ফাঁস করা প্রশ্নপত্রে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রতিহত করতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের গেটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা ।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মেডিকেল কলেজের গেটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সেখানে থেমে থেমে শ্লোগান দেয় এবং মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।
ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা জানান, ১৮ সেপ্টেম্বরের ভর্তি পরীক্ষা ছিল প্রহসনমূলক। এটা দেশবাসী জানেন। তারপরও তাড়িতাড়ি করে প্রশ্নবিদ্ধ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করায় সরকার এই দায় এড়াতে পারে না। এই পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের সুযোগ চেয়েছেন তারা। যতদিন পর্যন্ত তাদের এই দাবি মেনে না নেয়া হবে ততদিন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে তাদের আন্দোলনে শরিক হয়েছেন অনেক অভিভাবক।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া অভিভাবক রেহানা পারভীন জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছেন। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তারপরও কেন এই ফলাফল বাতিল করে নতুন ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ভাস্কর সাহা জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজ (মঙ্গলবার) থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২১ জন শিক্ষার্থী আজ ভর্তি হয়েছে। তবে সকালে বরিশাল মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু কিছু পরীক্ষার্থী এসে অবস্থান করেছে। তবে তারা বাধা দেননি আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।
তিনি আরো জানান, কলেজে এবার ৩ হাজার ৫৪ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এমবিবিএস কোর্সে ১৯৭ জন এবং ডেন্টালে ৫২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে মেডিকেল ভর্তির প্রতি সেট প্রশ্নপত্র ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে যা পরদিন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
সাইফ আমীন/এসএস/আরআইপি