এমপি লিটন হত্যার রায় ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে গাইবান্ধা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

গাইবান্ধা-১ আসনের (সুন্দরগঞ্জ) এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায় আজ (২৮ নভেম্বর)। চাঞ্চল্যকর এই হত্যার রায়কে কেন্দ্র করে রেলষ্টেশন, চায়ের দোকানসহ গোটা সুন্দরগঞ্জে চলছে আলোচনা। আদালত এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, রায়কে ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই সমগ্র জেলাকে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে।

এদিকে রায় ঘোষণা উপলক্ষে গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাউকে সকাল ১০টা পর্যন্ত আদালতে হাজির করা হয়নি।

উলেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ আসনের তৎকালীন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।

liton

এ ঘটনায় পরের দিন সন্ধ্যায় প্রথমে অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে তার বড় বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকুলী। তদন্ত শেষে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাদের খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

২০১৭ সালের ২১ ফেব্রয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় কাদের খানকে। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানাও মামলার আসামি হিসেবে একই কারাগারে বন্দি আছেন। আরেক আসামি শ্রী সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে মারা গেছেন। পলাতক আছেন আসামি শ্রী চন্দন কুমার রায়।

মামলার আসামি ও বাদী পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে গত ১৮ নভেম্বর। এরপর রায় ঘোষণার জন্য আদালত আজ (২৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের অস্ত্র আইন মামলায় গত ১১ এপ্রিল আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

জাহিদ খন্দকার/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।