আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে অনাগত শিশুর লিঙ্গ বলা নিষেধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

গর্ভকালীন অবস্থায় মায়েদের ডাক্তারি পরীক্ষাগুলোর মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাফি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের অনাগত সন্তানের লিঙ্গ ও শারীরিক গঠনসহ নানা বিষয় জানান চিকিৎসকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ জানতেই আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়।

তবে এখন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে অনাগত শিশুর লিঙ্গ বলা নিষিদ্ধ করেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর জেলা সদর হাসপাতালে জন্ম নেয়া এক নবজাতককে ঘিরে ধূম্রজাল তৈরি হয়। ওইদিন দুপুরে হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকার শারমীন আক্তার ও সুহিলপুর এলাকার তামান্না আক্তার এবং পৌর শহরের পাইকপাড়া এলাকার দিপ্তী রাণী দাস দুই ছেলে ও এক মেয়ে শিশুর জন্ম দেন। শারমীন ও তামান্নার কোলে দুই ছেলেশিশু এবং দিপ্তীর কোলে এক মেয়ে শিশু তুলে দেন চিকিৎসক। কিন্তু বিপত্তি বাধে দিপ্তীর ছেলেসন্তান দাবি করা নিয়ে। দিপ্তী মেয়েশিশু তার নয় জানিয়ে তামান্নার কোলে তুলে দেয়া ছেলেশিশুকে তার বলে দাবি করেন।

এর কারণ হিসেবে দিপ্তী জানান, একাধিকবার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে তার গর্ভে ছেলে শিশু রয়েছে বলে চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছিলেন।

সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম জানান, সম্প্রতি মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে শিশুর লিঙ্গ বলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন থেকে কোনো হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে শিশুর লিঙ্গ বলা যাবে না। এজন্য চিকিৎসকসহ জেলার সব হাসপাতালে চিঠি দেয়া হয়েছে।

আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।