বিএনপি পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনলেই যত দোষ : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এখন তাদের পেঁয়াজ দিচ্ছে না। ফারাক্কার বাঁধ খুলে দিয়েছে। ফেনী থেকে পানি নিয়ে যাচ্ছে। সরকার দিশেহারা হয়ে এখন পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনছে। তাতে কোনো দোষ হচ্ছে না। বিএনপি পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনলেই যত দোষ হতো।

শনিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর সদররোড অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয় চত্বরে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর তৎকালীন সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিপ্লব সংঘটিত করে বাকশাল শাসনের বিলোপ ঘটে। বাকশাল শাসন বিলোপ হওয়ায় আওয়ামী লীগ এদেশে আবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। অকৃতজ্ঞ আওয়ামী লীগ ওই দিনগুলোর কথা ভুলে গিয়ে এখন জিয়া পরিবার ও তার হাতে গড়া বিএনপি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশে আবার বাকশাল ফিরিয়ে আনার জন্য গণতন্ত্রের প্রবক্তা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা রাখেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

barishal-Their-enemy1

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, সামনে আন্দোলনের দুটি পথ আছে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কিম্বা সরকার পতনের একদফা দাবি। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া না হলে, আমরা দ্বিতীয়টি বেছে নেব।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু ও আকন কুদ্দুসুর রহমান, বরিশাল জেলা দক্ষিণ সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, উত্তর জেলা সভাপতি মেজবাহউদ্দিন ফরহাদ, ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার প্রমুখ।

সাইফ আমীন/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।