খুলনা ও সাতক্ষীরা থেকেও বাস ছাড়েনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ২১ নভেম্বর ২০১৯

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও খুলনা ও সাতক্ষীরায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল শুরু হয়েছে। নড়াইল থেকেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে বাস ছাড়বে এমন খবরে খুলনার সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, রয়্যাল ও শিববাড়ির মোড়ে শতশত যাত্রীরা দূর-দূরান্তে যাত্রার উদ্দেশ্যে আসলেও বাস না ছাড়ায় তাদের যাত্রা ভঙ্গ হয়েছে।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, নতুন সড়ক আইনের কিছু ধারায় মালিক ও চালকদের কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এ কারণে চালক ও মালিকরা ভয়ে গাড়ি বের করছেন না।

এদিকে সাতক্ষীরাও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কোনো রুটে বাস চলাচল করেনি।

সাতক্ষীরা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জানান, নতুন আইন সংশোধনের পর বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিকরা বাস চালানো বন্ধ কর দেয়। সরকারের আশ্বাস পেলেই রাস্তায় নামবে শ্রমিকরা। কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সরকারের ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।

আলোচনার পরও এখনো কেন বাস চলাচল শুরু হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাস মালিকরা অনুমতি দিলেই শ্রমিকরা বাস চালানো শুরু করবে। আপনারা মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

khulna02

সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু বলেন, মালিকরা বাস চালাতে নিষেধ করেনি। শ্রমিকরাই বাস চালানো বন্ধ করেছেন। এছাড়া ২১ ও ২২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় মিটিং রয়েছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সম্ভবত শ্রমিকরা বাস চালাবে না।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। রাত সোয়া ৯টার পর এ বৈঠক শুরু হয়।

রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (পরিবহন মালিক-শ্রমিক) ধর্মঘট প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ আপডেটের জন্য তাদের ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তারা আইন সংশোধনের যে দাবি জানিয়েছেন সেটা বিবেচনার জন্য সুপারিশ আকারে আমরা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। তারা এগুলো বিবেচনা করে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে।

আলমগীর হান্নান/আকরামুল/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।