এখনও ব্যস্ততা বাড়েনি কাওড়াকান্দি ঘাটে


প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঈদের ছুটি শেষ হয়ে আসলেও ব্যস্ততা এখনও বাড়েনি মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটে। রাজধানীতে যাওয়ার পরিবর্তে এখনও আসতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। রোববার দুপুর পর্যন্ত কাওড়াকান্দি ঘাটে দেখা যায় এ চিত্র।

সকালে রাজধানীর দিকে যাওয়া যাত্রীর সংখ্যাও যেমন ছিল তেমনি ঘরমুখো যাত্রীদের সংখ্যাও ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে আগামীকাল বিকেল এবং মঙ্গলবার থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করেছে সংশ্লিষ্টরা।

বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানায়, গত বুধবার থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ শুরু হয় মাদারীপুর জেলার শিবচরের এই কাওড়াকান্দি ঘাটে। ঈদের দিন শুক্রবারও ছিল যাত্রীদের বেশ চাপ। ঈদের ছুটি প্রায় শেষ হয়ে আসলেও রাজধানী অভিমুখে যাত্রীদের যাত্রা তেমন একটা শুরু হয়নি এখনও। রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে যাত্রীদের যাওয়া শুরু হলেও ঘরমুখো যাত্রীদের সংখ্যাও ছিল বেশ। তবে রোববার বিকেল এবং সোমবার থেকে ভিড় একটু বাড়তে পারে বলে সূত্র জানায়।

গোপালগঞ্জগামী যাত্রী রাজিব আহমেদ জানান, কাজের ব্যস্ততায় ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে না পারায় এখন বাড়ি যাচ্ছেন তিনি। এই যাত্রীর মতো অনেকেই যারা ব্যস্ততার কারণে বাড়ি ফিরতে পারেনি, তারা ঈদের পর এখন বাড়ি ফিরছেন।

বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিঞা বলেন, ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ এখনও তেমনভাবে বাড়েনি। তবে আগামীকাল বা তার পরের দিন থেকে যাত্রী চাপ বেড়ে যাবে। তবে চাপ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে চারটি রোরো ফেরিসহ ১৮টি ফেরি।

তিনি আরো জানান, নৌরুট বর্তমানে সচল রয়েছে। ফলে আশা করা যায়, গন্তব্যে ফিরতে যাত্রীদের কোনো দুর্ভোগে পড়তে হবে না।

এদিকে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য কাওড়াকান্দি ঘাটে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া পদ্মায় টহলরত অবস্থায় রয়েছেন নৌ-পুলিশের একাধিক টিম।

নৌযানে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী বহন এবং স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেটের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে শিবচর উপজেলা প্রশাসন।

এ কে এম নাসিরুল হক/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।