ট্রেন দুর্ঘটনা দেখতে এসে চাচা-চাচির লাশ পেলেন শাহাদৎ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৯

উৎসুক জনতা হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা ও আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের দেখতে এসেছিলেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার মো. শাহাদৎ। সেখানে এসে নিজের চাচা মজিবুর রহমান (৫০) ও চাচি কুলসুমার (৪৩) মরদেহ পেলেন তিনি। নিথর দেহে কসবা উপজেলার বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বারান্দায় শুয়ে আছেন তারা।

শাহাদৎ জানান, মন্দবাগ এলাকায় থেকে ফার্নিচার তৈরির কাজ করেন তিনি। মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দু্র্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন মরদেহ দেখতে। এসে বারান্দায় থাকা নিজের চাচা মজিবুর রহমান ও চাচি কুলসুমার মরদেহ দেখে হতবাক হয়ে পড়েন তিনি।

তিনি আরও জানান, মজিবুর রহমান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ব্যবসা করতেন। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে তিনি ও তার স্ত্রী চাঁদপুরে নিজ বাড়িকে ফিরছিলেন। সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাদের ছেলে ফোন দিয়েছে খবর জানতে। আমি এখনও চাচা-চাচির মৃত্যুর খবর বাড়িতে জানাতে পারিনি।

lash

এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৫ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা নিহতেদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদেরর পরিচয় শনাক্ত করছেন। এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মদনমোরাাদ এলাকার আইয়ূব হোসেনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), আনোয়ারপুর এলাকার মো. হাসানের ছেলে আলী মো. ইউসূফ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাঁও এলাকার সুজন (২৪), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজাগাঁও এলাকার মজিবুর রহমান (৫০) ও তার স্ত্রী কুলসুমা (৪২)।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।