ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে মানুষের খোঁজ নিতে বেরিয়ে পড়লেন ডিসি
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে বিধ্বস্ত হয়েছে সাতক্ষীরা উপকূল। ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। দুর্যোগকবলিতদের মাঝে সরকারিভাবে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (১০ নভেম্বর) ভোররাতে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। টানা পাঁচ ঘণ্টা চলে তাণ্ডব। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উপকূলের লক্ষাধিক মানুষ।
ভোররাত ৪টা থেকে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় শ্যামনর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোলিনী ও পদ্ম পুকুর ইউনিয়ন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপকূলের বাসিন্দাদের খোঁজখবর রাখেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম মোস্তফা কামাল। শনিবার মধ্যরাতে বৃষ্টির মধ্যে মানুষের খোঁজখবর নিতে বেরিয়ে পড়েন ডিসি। রোববার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে দুর্যোগকবলিতদের খোঁজখবর নিতে বের হন তিনি।
এরপর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে দিনব্যাপী জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো চষে বেড়ান ডিসি মোস্তফা কামাল। পরে গাবুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন ডিসি ও এসপি।
দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় ত্রাণ বিতরণকালে ডিসি মোস্তফা কামাল বলেন, আপনারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চান না। আজ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন বলেই বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উপকূলীয় বাঁধ মেরামত করে দেবেন। আপনাদের আর আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে হবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
দুর্যোগকবলিতদের উদ্দেশ্যে ডিসি বলেন, গাবুরার অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ও সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে।
এ সময় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আকরামুল ইসলাম/এএম/পিআর