সাতক্ষীরা উপকূলে নদীর পানি বৃদ্ধি, ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় গাবুরা ইউনিয়নের তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্যদিকে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের তিনটি স্থানে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়নের তিনটি স্থানে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। হরিশখালী, ডুমুরিয়া ও কালিবাড়ি এলাকায় নদী তীরবর্তী বাঁধ যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নদীতে ঢেউয়ের মাত্রাও বেড়েছে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ বাইরে বের হতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, দুপুর পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসতি। আইলার সময় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এ এলাকা। চলাচল উপযোগী কোনো রাস্তাও নেই। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।

satkhira

অন্যদিকে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল বলেন, আমার ইউনিয়নে চারটি স্থানে বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ছয়টি স্থানে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। চাকলা, সুভদ্রকাটি, কুড়িকাউনিয়া, হরিশখালী ও হিজলিয়া এসব এলাকার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নদীর পানি ও ঢেউ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কতক্ষণ বাঁধ টিকে থাকবে সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যচ্ছে না।

satkhira

তিনি বলেন, গত এক বছর ধরে বাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসনকে একাধিকবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। আমার ইউনিয়নের ৩৬ হাজার মানুষের জানমাল হুমকির মুখে পড়েছে।

তবে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গোকুল চন্দ্র পাল জাগো নিউজকে বলেন, উপকূলীয় এলাকায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। ১২শ সিমপেথিক ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের জরুরি কোনো মুহূর্তের সৃষ্টি হলেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।