নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহ হয়, আতঙ্কে উপকূলবাসী
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে। আর নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আসার খবরে দক্ষিণ উপকূলের মানুষের মাঝে ভয় আর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কারণ নভেম্বর মাসে যেসব ঘূর্ণিঝড় হয়েছে সবগুলো ছিল ভয়াবহ। এরমধ্যে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর এবং ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরে ঘূর্ণিঝড় সিডর উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী লন্ডভন্ড করেছিল। যার ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তরা।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, জেলায় মোট ৪০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সার্বিক বিষয় মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১শ মেট্রিকটন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১৬৬ বান্ডিল টিন এবং ৩৫০০টি কম্বল মজুত রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী ইউথ ফোরামের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছে ভলান্টিয়াররা।
বাউফলের চন্দ্রদীপ এলাকার বাসিন্দা আবুল ফরাজি জানান, শুনছি বন্যা হইবো। অবস্থা খারাপ দেখলে সাইক্লোন শেল্টারে যাব।
পায়রা সমুদ্র বন্দরের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন খান জাগো নিউজকে জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ জেলার সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখে শ্রমিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা লিটন মৃধা জানান, আবারও নভেম্বর মাসে বন্যা হবে। আল্লাহ যানে কি হয়?
অপরদিকে, পটুয়াখালী নদী বন্দরের কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর জানান, পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ নৌরুটে চলাচলকারী ৬৫ ফুটের চেয়ে ছোট সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ডাবল ডেকার লঞ্চ চলাচল বন্ধে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএএস/এমকেএইচ