ঈদে বাড়ি যেতে না পেরে অভিমানে আত্মহত্যা
ঈদে গ্রামের বাড়িতে না যেতে পেরে অভিমানে নাজমা বেগম (২০) নামে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মূলগাঁও গ্রামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।
নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার (ঈদের দিন) গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহত ওই নারীর স্বামী মো. মানিক মিয়া জাগো নিউজেকে জানায়, তিনি কালীগঞ্জে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসে কাজ করেন। বাড়ি রংপুর সদরের হারাগাছ পৌর এলাকায়। বছর চারেক আগে নাজমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের সংসারে আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী ও এক ছেলে সন্তান নিয়ে তাদের সাংসার। যা রোজগার হয় তা দিয়ে তাদের সংসার ভালই চলছিল। তবে ঈদে বাড়ি যাওয়ার মত কোনো টাকা পয়সা হাতে ছিল না। তাই এবার গ্রামের বাড়িতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি তার স্ত্রী মেনে নিতে না পেরে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তিনি আরো জানান, উপজেলার পৌর এলাকার মূলগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়িতে তারা ২ বছর যাবৎ ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে ঘরে রেখে মালিকের কাছে পাওনা টাকা আনতে যান। কিন্তু ঘরে ফিরে দেখেন তার স্ত্রী নাজমা ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রিয়াংকা পোদ্দার নাজমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে তার শরীরের কোনো স্থানে আঘাতের চিহ্ন নেই। গলায় ওরনা পেঁচিতেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্য মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো জানান, নিহতের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার আছমিতা গ্রামে। তার বাবার নাম মো. জালাল উদ্দিন। তার অভিভাবকদের আসার জন্য খবর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত হয়ে যাওয়ায় মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
আব্দুর রহমান আরমান/একে