সেই বৃদ্ধ দম্পতির পাশে ইউএনও তামান্না
পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির সেই বৃদ্ধ দম্পতিকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তামান্না মাহমুদ। সম্প্রতি বৃদ্ধ ফজর আলী ও তার স্ত্রী জয় বাহারের খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি এ আশ্বাস দেন। সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্মার্ট মানিকছড়ির প্রতিষ্ঠাতা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ‘চা বিক্রি করে সংসার চলে বৃদ্ধ দম্পতির’ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর তা মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তামান্না মাহমুদের নজরে আসে।
সংবাদটি প্রকাশের পরপরই এ দম্পতির খোঁজখবর নিতে মানিকছড়ি গিরি কলি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সামনের চা দোকানে ছুটে যান ইউএনও তামান্না মাহমুদ। এ সময় তিনি বৃদ্ধা দম্পতির হাতে শুকনা খাবার ও কম্বল তুলে দেন এবং তাদের বসবাসের জন্য দুর্যোগ সহনীয় একটি পাকা ঘর করে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
বৃদ্ধ ফজর আলী জাগো নিউজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে ১৫ বছর পরে হলেও বড় কেউ আমার খবর নিতে এসেছে। আমাদের হাতে খাবার তুলে দিয়েছে। বসবাসের জন্য পাকা ঘর দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তামান্না মাহমুদ বলেন, জাগো নিউজে ‘চা বিক্রি করে সংসার চলে বৃদ্ধ দম্পতির’ শিরোনামে সংবাদটি পড়ে তাদের চা দোকানে ছুটে যাই। এ বয়সে তাদের জীবিকার সন্ধানে চা বিক্রি বেদনাদায়ক। তাদের বসবাসের জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি দুর্যোগ সহনীয় ঘর দেয়ার আশ্বাস দিয়েছি। আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যেই তারা নতুন ঘরে উঠতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ফজর আলীর বয়স একশরও বেশি। তার স্ত্রী জয় বাহারের বয়স ৭০। ৫৫ বছর আগে ঘর বাঁধেন তারা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এ দম্পতি জীবনের শেষ বয়সে এসেও নিজেদের জীবিকার জন্য চা বিক্রি করেন। মানিকছড়ির অদূরে এয়াতালং পাড়ায় নিজের দুই একর টিলাভূমি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সদরের গিরি কলি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সামনের সরকারি খাস জায়গায় তৈরি করা একটি ছোট দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছেন ফজর আলী ও তার স্ত্রী। আবার এ দোকানের একপাশে ছোট্ট কামরাতেই বাস করেন তারা। প্রতিদিন চা দোকান থেকে যে কয় আয় করেন তা দিয়েই চলে এই দম্পতির সংসার।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/আরএআর/পিআর