কুড়িগ্রামে চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের উপর হামলাকারীকে পুলিশ ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলার নয়টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুপুর ১২টায় একযোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা বিএমএ শাখার উদ্যোগে বুধবার সদর হাসপাতাল চত্বরের সামনে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। এসময় সিভিল সার্জন ডা. জয়নুল আবেদীন জিল্লুর এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএমএ-র জেলা শাখার সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক, আর এমও ডা. নজরুল ইসলাম, ডা. মাহফুজার রহমান মুকুল, ডা. মাহবুবা খাতুন কণা, ডা. মোখতার আলী প্রমুখ।
বক্তারা জানান, ডাক্তার, নার্সসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে আসছেন। আর কিছু কতিপয় সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত করার জন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার দরুণ প্রায় সময় হাসপাতালে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। আর এতে করে হাসপাতালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশে হামলাকারীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবেন বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে কেবিনে রোগী ভর্তি করা এবং চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) চেম্বারে হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের হামলায় মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হেলাল মিয়া ও আরএমও ডা. নজরুল ইসলাম আহত হন। চোখে ও মুখে গুরুতর জখম হওয়ায় ডা. হেলাল মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর ডা. নজরুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আরএমওর চেম্বারের কাগজপত্র তচনছ ও ভাঙচুর করা হয়। এসময় হাসপাতালে ২ জন চিকিৎসকের উপর হামলা ও ভাঙচুরকারী আব্দুল আলিমকে হাতে নাতে ধরে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে তাকে ছেড়ে দেয়।
নাজমুল হোসেন/এমজেড/এমএস