মায়ের কোলেই ফিরলো রাজকন্যা রুমঝুম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

পঞ্চগড়ের ১৮ দিন বয়সী শিশু রাজকন্যা রুমঝুমের ঠিকানা এখন মায়ের কোল। দত্তক দিতে না পেরে ফেলে যাওয়া শিশুটিকে মঙ্গলবার রাতে তার মা রিমু আক্তারের কোলে তুলে দেন জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন।

এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুটির জন্য পোশাক, প্রসাধনী, শীতের কম্বল তার পরিবারের জন্য শুকনো খাবারসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন শিশুটির নাম রাখেন রাজকন্যা রুমঝুম। এ সময় শিশুটির মাসহ তার পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসকের দেয়া নামটি রাখতে হাসিমুখে সম্মত হন।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে শিশুটিকে হস্তান্তরের সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, শিশুটির নানা আইবুল ইসলাম, নানী শিল্পী বেগমসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে কোলে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা রিমু আক্তার। পরে তিনি শিশুটিকে এভাবে ফেলে যাওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সকলের কাছে ক্ষমা চান। এরপর হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তারা শিশুটিকে তার নানাবাড়ি সদর উপজেলার ভিতরগড়ে চলে যান।

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শিশুটির মাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের ইতিবাচক ভূমিকা প্রশংসনীয়। সব দিক বিবেচনা করেই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হলো। একই সঙ্গে শিশুটিকে যাতে ভালোভাবে দেখভাল করা হয় এ জন্য শিশুটির মাসহ তার পরিবারের কাছে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে বিভিন্নভাবে সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

স্বামীর সঙ্গে সাংসারিক টানাপোড়েনে শিশুটিকে দত্তক দিতে চেয়েছিলেন মা রিমু আক্তার। কেউ নিতে আগ্রহ না দেখায় বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের কামাতপাড়া মহল্লার একটি গলিতে শিশুটিকে ফেলে যান তার মা রিমু আক্তার। ফুটফুটে শিশুটিকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। সোমবার বিকেলে জেলা সদরের আটোয়ারী উপজেলা মালিগা থেকে মা রিমু আক্তারকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে আবারও শিশুটি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।।

সফিকুল আলম/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।