সুনামগঞ্জে শিশু তুহিন হত্যা, বাবা ও চাচা ফের রিমান্ডে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শিশু তুহিন হত্যা মামলায় বাবা ও চাচাকে ফের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বাবা আব্দুল বাছিরকে পাঁচদিন ও দুই চাচাকে তিনদিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার বিকেল ৫টায় সুনামগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দিরাই থানা পুলিশের ওসি কে এম নজরুল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত শিশুর বাবা আব্দুল বাসির ও চাচা আব্দুল মোছাব্বির এবং জমশেদ আলীকে আদালতের কাছে সাতদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত বাবার পাঁচদিন এবং দুই চাচাকে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আবারও রিমান্ডে আনা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার বাবা আব্দুল বাছির ও দুই চাচাকে তিনদিন করে রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। পরে তাদের আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

অন্যদিকে (১৫ অক্টোবর) মঙ্গলবার নিহতের আরেক চাচা নাসির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর রোববার সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে তুহিন (৫) নামে এক শিশুকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে ঘাতকরা। ঘাতকরা শিশুটির লিঙ্গ ও কান কেটে নিয়ে গেছে। ওইদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাজাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন ওই গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, রোববার রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে তুহিনের চাচাতো বোন ঘরের দরজা খোলা দেখে ডাকাডাকি শুরু করেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ি থেকে একটু দূরে মসজিদের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পায়। এ সময় তার পেটে দুটি ছুরি বিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সকালে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু তুহিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

মোসাইদ রাহাত/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।