মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্রীকে হত্যা : ইমাম গ্রেফতার


প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মুক্তিপণ না পেয়ে আদুরী (৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামের একটি মসজিদের পেছনে মাটি খুঁড়ে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই মসজিদের ইমাম সফিকুল ইসলামকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। মূলত তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সেখান থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত রোববার সকালে রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রাম থেকে আদুরীকে অপহরণ করা হয়। আদুরী সেনদিয়া গ্রামের টুকু সরদারের মেয়ে এবং সেনদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের ছাত্রী।

নিহতের ভাই শাহিন জানায়, আদুরী অন্যান্য দিনের মতো রোববার সকালে তার সহপাঠীর সঙ্গে আরবী শেখার জন্য সেনদিয়া বাজার সংলগ্ন মসজিদের ইমামের কাছে যায়। বৃষ্টির কারণে ছাত্র-ছাত্রী কম আসায় ইমাম সাহেব তাদেরকে না পড়িয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে এবং কৌশলে আদুরীকে আটকে রাখেন। তারপর দুপুর গড়িয়ে গেলেও আদুরী বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। মাইকিং করেও জানানো হয়।

পরে একটি নম্বর থেকে বারবার কল করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় রাজৈর থানা পুলিশের এসআই সমীর হোড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মসজিদের ইমাম সফিকুলকে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় রোববার সকালেই আদুরীকে হত্যা করে তার মরদেহ সিমেন্টের বস্তায় ভরে মসজিদের পাশে মাটির নীচে রাখা আছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ইমাম পিরোজপুর সদর উপজেলার বৈয়ামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

রাজৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ভূঁইঞা জানান, ইমাম সফিকুলসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ কে এম নাসিরুল হক/এমএএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।