পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবকিছু করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ ও বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির কাজ চলছে। পাহাড়ের মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যাতায়াত করতে পারে তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবকিছু করা হবে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির রামগড় থানা কাম ব্যারাক ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পাহাড়ে সংঘাত বন্ধে কোনো বার্তা আছে কি-না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশেই যেন শান্তির সুবাতাস অব্যাহত থাকে তার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে গাইড লাইন তৈরির কাজও চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান ও রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ৮ ডিসেম্বর বিগত সরকারের মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন আসাদুজ্জামান খান রামগড় থানা কাম ব্যারাক ভবনের ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের গত জুনে নির্মাণ কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্টদের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এমবিআর/জেআইএম