বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরা
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম নৌপথ মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেড়ে গেছে যাত্রীদের চাপ। কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘরে ফেরার যাত্রায় দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীরা।
এদিকে যাত্রীদের চাপ সেই সঙ্গে বেড়ে গেছে পরিবহনের সংখ্যাও। কাওড়াকান্দি ঘাট সংলগ্ন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের একটি অংশ ঘাটে আসা পরিবহনের চাপে রয়েছে আটকা। তাছাড়া ঢাকাগামী গরুবোঝাই পরিবহনের চাপও রয়েছে বেশ। কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে ফেরিতে শুধুমাত্র গরুবোঝাই পরিবহনই পার করা হচ্ছে সকাল থেকে। পরিবহনের চাপে আটকে আছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় তিন কি.মি রাস্তা।
এদিকে সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কাওড়াকান্দি ঘাটে এসে। লঞ্চ, ফেরি থেকে নেমে বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রীদের গন্তব্যের পরিবহনের দিকে যেতে দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন এক প্রকার অচল থাকার পর নৌপথ সচল হওয়ায় কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে বর্তমানে সবগুলো ফেরিই চলাচল করছে বলে বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানায়।
বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্রে জানা গেছে, চ্যানেল মুখে খনন কাজ সম্পন্ন হওয়ায় চারটি রোরো ফেরিসহ ১৮টি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। কাওড়াকান্দি ঘাটে পারাপারের জন্য পরিবহনের তেমন চাপ নেই। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গরুবোঝাই ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘরমুখো যাত্রীদের বেশির ভাগ ফেরিতে পার হচ্ছে।
কাওড়াকান্দি লঞ্চ ঘাট সূত্র জানায়, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ পড়েছে কাওড়াকান্দি ঘাটে। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও যাত্রীরা ঘরে ফেরা শুরু করেছে। শিমুলিয়া থেকে লঞ্চ, স্পিডবোটে করে যাত্রীরা কাওড়াকান্দি ঘাটে আসছে। তবে লঞ্চগুলোতে ধারণ কষমতা অনুযায়ীই যাত্রীদের পার করা হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আসা বরিশালগামী যাত্রী জাহানারা বেগম বলেন, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ফিরতে হচ্ছে। দুদিন বাদেই ঈদ। যাত্রীদের চাপ আরো বাড়বে। তাই আগে ভাগেই রওনা হয়েছি। তবে বৃষ্টির কারণে ঘাটে এসে ভিজতে হচ্ছে।
মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে আসা অপর এক যাত্রী জানান, বৃষ্টিতে কাওড়াকান্দি ঘাটে অসহনীয় দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। যাত্রী ছাউনির যথাযথ ব্যবস্থা নেই। ফলে বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিঞা বলেন, ঘাট বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। সবগুলো ফেরি ঠিকমত চলাচল করছে। তবে বৃষ্টিতে ঘাট এলাকায় একটু দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
একেএম নাসিরুল হক/এসএস/আরআইপি