ব্যাংক কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় লিটনের স্বীকারোক্তি
ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে ধর্ষণ ও ডাকাতি করতেই খুলনা মহানগরীর লবনচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগা রোড ৩নং গলির বাসিন্দা ইলিয়াছ চৌধুরীর বাড়িতে প্রবেশ করে পাঁচ ডাকাত। ধর্ষণের পর পাঁচ ডাকাতকে চিনতে পারায় তারা বাবা ও মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে।
সোমবার বিকেলে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আয়শা আকতার মৌসুমীর আদালতে ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন লিটন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা লবনচরা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী বাবুল হোসেন জানান, রোববার রাতে বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল কালামের ছেলে মো. লিটনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে নিজের দায় স্বীকার করার পর সোমবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে লিটন আরো জানায়, শুক্রবার রাতে পাঁচজনের একটি ডাকাত দল ইলিয়াস চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। এরপর তারা বাড়িতে ঢুকে ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় তারা প্রথমে ইলিয়াস চৌধুরী ও পরে পারভীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ঢাকাইয়া হাউজ এপি ভিলা নামের ওই বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের মধ্য ফেলে দেয়। এরপর তারা ডাকাতি করে চলে যায়।
কেএমপির মুখপাত্র এডিসি মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, পুলিশ অন্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আলমগীর হান্নান/এআরএ/পিআর